যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ অসাংবিধানিক
- By Jamini Roy --
- 24 January, 2025
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সিয়াটল ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জন কফেনৌর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর স্বাক্ষরিত এই নির্বাহী আদেশের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন জমা পড়ে।
বিচারক জন কফেনৌর তার রায়ে বলেন, “জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব রক্ষার বিষয়টি মার্কিন সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত। নির্বাহী আদেশটি সংবিধানের লঙ্ঘন করছে।” একইসঙ্গে তিনি আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এই রায়ের পক্ষে যুক্তি প্রদান করেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল নিক ব্রাউন এবং তিনটি ডেমোক্র্যাট-শাসিত অঙ্গরাজ্যের আইনজীবীরা। তারা দাবি করেন, “এই আদেশে রাজ্যগুলোর নাগরিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এটি অসাংবিধানিক।”
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, “নির্বাহী আদেশটি প্রয়োগের ফলে রাজ্যগুলোর তাৎক্ষণিক ক্ষতি হয়েছে।” তবে তারা আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেন, “এই আইনি লড়াই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবে এবং আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকব।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদ থেকেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিরোধিতা করে এসেছেন। তিনি দাবি করেন, “জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। অভিবাসী পরিবারগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে।”
২০২১ সালে তার প্রশাসন প্রথমবার এই আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। যদিও এটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে সুরক্ষিত, যা যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতারা এটিকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কঠোর নীতির প্রতিফলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকান নেতারা বলেছেন, “জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম বদলানোর সময় এসেছে।”
বিচারক কফেনৌরের রায়ের পর, আইনি লড়াই যে দীর্ঘস্থায়ী হবে তা নিশ্চিত। আপিলের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এই আদেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।